ফের আদালতে মুখ পুড়ল কমিশনের। রাজ্যে আরও এক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। কিছুদিন আগেই গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর ক্ষুব্ধ হন হাইকোর্টের বিচারপতি। এবার গ্রুপ সি মামলাতেও ধাক্কা খেল কমিশন।
ঘটনার সূত্রপাত সেই ২০১৬ সালেই। স্রেফ গ্রুপ-ডি'ই নয়, সেবছর একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ-সি পদে কর্মী নিয়োগেরও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরীক্ষার পর যথারীতি সফল কর্মপ্রার্থীদের প্যানেল তৈরি করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের এক ব্যক্তি যখন ইতিমধ্যেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তখন মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ, SSC-র গ্রুপ-সি পদে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নিয়োগ করা হয়েছে সাড়ে তিনশো জনকে। গতকাল, বুধবার মামলাটি শুনানি হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। পূর্ব মেদিনীপুরের যে ব্যক্তি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলাকারীর কাছে 'ভুয়ো নিয়োগ' সংক্রান্ত নথিও তলব করা হয়।
এদিন বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ-সি পদে কর্মরত সাড়ে তিনশো জনের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে জমা দেন মামলাকারী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, এই সাড়ে তিনশোর জনের মধ্যে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কারা চাকরি পেয়েছেন, ৪ দিনের মধ্যে তা খতিয়ে দেখতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। শুধু তাই নয়, যাঁরা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেতন বন্ধ থাকবে। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কীভাবে এই নিয়োগ হল? কোথা থেকে সুপারিশ এল? মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামাও তলব করেছে আদালত।
এদিকে আবার প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে SSC-র গ্রুপ-ডি পদেও। সেই মামলাতেও কিন্তু প্রথমে ২৫ জন, ও পরে আরও ৫৪২ জনের বেতন নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআই অনুসন্ধানের বিষয়টি বিচারাধীন ডিভিশন বেঞ্চে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন