করোনা-আবহে প্রায় ২০ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার স্কুল খুলতে চলেছে। রাজ্য সরকারের পূর্ব ঘোষণা মতো ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলায় আর কোনও বাধা নেই। জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে স্কুল খুললেও করোনাবিধি মেনেই চলতে হবে পড়ুয়াদের।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
কিন্তু গত তিন মাসে রাজ্যের ১৪ হাজার ১৯৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের চরিত্রে অনেকটাই বদল গিয়েছে। সৌজন্যে উৎসশ্রী পোর্টাল। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সাড়ে আট হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলি প্রক্রিয়া কার্যকরী হয়েছে 'উৎসশ্রী'তে আবেদনের উপর ভিত্তিকরে। যে সব স্কুল থেকে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকা অন্যত্র সাধারণ বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন, সেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে নবম থেকে দ্বাদশের একাধিক সেকশনের ক্লাসগুলিকে দুই বা ততোধিক ভাগ করে ক্লাস নেওয়া হবে কী ভাবে, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের এখনও ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু না-হওয়াও। যে-সব স্কুলে চারটি ক্লাসেই পড়ুয়ার সংখ্যা ৯০০ থেকে ১২০০, সেখানে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না-থাকলে কী ভাবে ক্লাস করা হবে, তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের বহু স্কুলেই নবম-দ্বাদশে পড়ুয়ার সংখ্যা হাজারেরও বেশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে নবম থেকে দ্বাদশে ২২০০ পড়ুয়া। ১৪টি শিক্ষক পদ ফাঁকা। দীর্ঘ দিন নেই বায়ো সায়েন্স ও রসায়নের শিক্ষক। বদলিতে চলে গিয়েছেন ইতিহাসের শিক্ষকও। বলে রাখা ভাল, শেষ ১০ বছরে ১৪ হাজারের বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে মাত্রই দু-বার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন