এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার অনুমতি পেল রাজ্য ও এসএসসি। বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করার আর্জি মঞ্জুর হয়েছে। রাজ্যের আর্জি শুনে আগামিকাল, বুধবার বিকেল তিনটের মধ্যে সিবিআই-য়ের হাতে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি টন্ডন। তার আগে মামলার শুনানি হোক। আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর আজকেই কোনও কমিটি গঠন করছে না সিবিআই। আগামীকাল আদালত থেকে নথি সংগ্রহের পর কমিটি গঠন করবে। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশের পর দিল্লি থেকে কলকাতা সিবিআই এর কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফের নিয়োগ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। গতকাল আদালতের রায়ে বেশ চাপে সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রপ- ডি পদে বেনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি জানান, ব্যক্তিগতভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরোধ নেই। দুষ্কৃতীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না। দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে হবে।
তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তারপরই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ভুয়ো সুপারিশপত্রগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ বিচারপতির। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এদিন মামলাকারীদের তরফে ৫০০ জনের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয় আদালতে। এদের নিয়োগ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে এদিন বোর্ডের পক্ষ থেকে হলফনামা জমা পরে। সেখানে বলা হয়, কমিশনের পক্ষ থেকে যে সুপারিশ এসেছিল তার সফট কপি আছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। তারা গ্রুপ সি ও ডির নিয়োগ সেখান থেকেই করেছেন। পেন ড্রাইভে তার তথ্য আছে।
বিচারপতি জানতে চান, কমিশনের সুপারিশ যদি না-ই থাকে, তা হলে কার অদৃশ্য হাত এখানে রয়েছে? কার সুপারিশে ২৫ জন চাকরি পেলেন। দু-বছর হতে চলল তাঁরা সে চাকরি করছেন। পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি 'সিবিআই এনকোয়ারি' চান। এর কারণ যে রাজ্য পুলিশে অনাস্থা —এমনটা নয়। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলকে তিনি অসম্মান করতে চান এমনও নয়। যেহেতু এ ক্ষেত্রে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলছে, মানুষের স্বার্থে তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে কোথাও গিয়ে সিবিআইয়ের অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অধীনে তাদের কাজ করতে হয়। তাই তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথা বলেছেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন