জালিয়াতি চক্রের যেন শেষ নেই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে বড়সড় জাল, এমনই মনে করছে শিক্ষক সংগঠন। সেই দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। পাশাপাশি শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। সংগঠনের দাবি, সরকারকে কালিমালিপ্ত করার তাগিদেই এই জাল চক্র পাতা হয়েছে।
রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি দেবব্রত সাহার কথায়, 'আমরা চাই পুলিশ অবিলম্বে জালিয়াত চক্রকে খুঁজে বের করুক। প্রতারণা চক্রের ফাঁদে যেন না পড়ে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াত চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। জাল কললেটার নিয়ে দফতরে হাজির হন ১৩ জন চাকরি প্রার্থী। যাচাই করতেই প্রকাশ্যে এল জালিয়াতি। ধরা পড়তেই পগাড়পার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতর বালিগঞ্জে।
সোমবার সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির পর্দাফাঁস হয়। ওই দিন দফতরে পৌঁছন ২০১৪ সালের ১৩ জন টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থী। ১৩ প্রার্থীরই হাতে ছিল কাউন্সেলিংয়ের কললেটার। ইমেল মারফত পাওয়া সেই কল লেটার নিয়ে সকাল থেকেই প্রত্যেকে হাজির হন বালিগঞ্জের জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসে। সোমবার কাউন্সেলিংয়ের দিন না থাকায় প্রথমেই সন্দেহ হয় সংসদ কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিতে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে যোগাযোগ করা হয়। তখনই জানা যায়, ১৩ প্রার্থীরই কললেটার ভুয়ো। এরকম কোনও কল লেটারই কাউকে পাঠানো হয়নি। জালিয়াতি ধরা পড়তেই দ্রুত এলাকা ছাড়েন ওই ১৩ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, আমরা এই ধরনের কোনও চিঠি পাঠাইনি। কললেটার সম্পূর্ণ ভুয়ো। আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি'।
তিনি আরও বলেন, 'আমি তেরোজনের কাছেই জানতে চাই যে, কোথা থেকে বা কার মাধ্যমে এই কললেটার পেয়েছেন। তবে কেউই মুখ খোলেননি'। গোটা বিষয়টি উপর মহলে জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন