শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। রাজস্থান হাইকোর্ট, যোধপুরের প্রধান বেঞ্চে গতকাল শুনানি শেষ হয়। আজ আদালতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আদালত শুধুমাত্র BSTC প্রার্থীদের REET লেভেল I-এ যোগ্য বলে বিবেচনা করেছে।
এর পাশাপাশি, আদালত এই পুরো মামলায় বিএড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজস্থান হাইকোর্টের এই নির্দেশে শুধু রাজস্থান নয়, সারা দেশের বিএসটিসি পরীক্ষার্থীরা বড় জয় বলে মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় প্রার্থীরা যাতে আরও বেশি সংখ্যায় যোগ দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই। জানান হয়েছিল, বিএড বা ব্যাচেলর অব এডুকেশন ডিগ্রি থাকলেও এ বার থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দেওয়া যাবে। এর ফলে আরও বেশি প্রার্থী টেটে বসতে পারবেন বলে জানাচ্ছে শিক্ষা শিবির।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এনসিটিই এই ইস্যুতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। সাধারণ ভাবে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার নিয়ম মেনে চলে সব রাজ্যই। তবে পরীক্ষায় বসার নতুন ব্যবস্থার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত পর্ষদকে জানানো হয়নি।
এক পর্ষদকর্তা জানান, এনসিটিই তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, কোনও প্রার্থীর বিএড এবং স্নাতকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলেই তিনি টেটে বসতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্য দু'বছরের বিএডের উল্লেখ করা হয়নি। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, বিএড যখন এক বছরের পাঠ্যক্রম ছিল, সেই সময়কার প্রার্থীরাও ওই নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। তবে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গেলেও দু'বছরের মধ্যে একটি বিশেষ পাঠ্যক্রম করে নিতে হবে। ছ'মাসের ওই পাঠ্যক্রম করা বাধ্যতামূলক। যদিও এ রাজ্যে এখনও এই পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা নেই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন