রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে ফের অনিয়মের ঘটনা সামনে এল। টানা ১৮ মাস সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেছেন। কিন্তু, আচমকাই একদিন বেতন বন্ধ। খোঁজ করতে দিয়ে দেখা যায় নিয়োগপত্রই ছিল ভুয়ো। এদিকে এই চাকরির জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েছিল এই যুবক। এই বিষয়টি সামনে আসার পর মাথায় হাত তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।
এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ২০১৯ এর শেষে মেদিনীপুরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের Gynaecology বিভাগে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যোগ দেন মেদিনীপুর শহরের অলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শেখ আজাহারউদ্দিন।
শেখ আজাহারউদ্দিনের দাবি, হাসপাতালের এই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে ৫ লাখ টাকা দাবি করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের Gynaecology বিভাগে কর্মরত কৃষ্ণা রাউত দাস নামক এক মহিলা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই যুবককে দেওয়া হয় অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার। মেমো নম্বর যুক্ত ওই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়ে ২০১৯ এর শেষ থেকে হাসপাতালের কাজও শুরু করে আজাহারউদ্দিন। প্রতি মাসে নিয়ম করে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি। তবে হঠাৎই চলতি বছরের শুরুতে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর বেতন। মাসকয়েক বেতন না পেয়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তখনই বোঝা যায় সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটিও ভুয়ো। এরপরই মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয় প্রতারিত যুবক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন