বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি হাতে বিধানসভা ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যোগের পরও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে দেখলেই, প্রতিবাদ করতে ছাড়েননি রাজীব। বারবার বুঝিয়েছিলেন, দলত্যাগ করলেই কিছু সম্পর্ক শেষ হয় না। ৯ মাস পর তৃণমূলে ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন রাজীব। তাঁকে গোটা ভারতের 'মা' বলে সম্বোধন করলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। রবিবার ত্রিপুরার সভায় তৃণমূলে যোগদানের পরই বিজেপি যোগের জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছেন রাজীব। জানিয়েছেন, তিনি লজ্জিত। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
এদিকে রাজীবের এই 'ঘরে ফেরা' নিয়ে খুশি হতে পারছেন না শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজীবকে। বলেন, "তৃণমূলে থাকতে হলে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। তবে আমি জানি না এরকম একজন আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে কেন দলে নেওয়া হল। "পাশাপাশি, রাজীব ঘরে ফেরার খবরে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কিছুটা অভিমানী সুরেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার লাইন ধার করে তিনি বললেন, "কেউ কথা রাখেনি"।
এখানেই থামেননি কল্যাণ। সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্ব-ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে এদিন রাজীবের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, "নির্বাচনের সময় ডোমজুড়ের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজীবের কলকাতায় তিনটে বাড়ি আছে। ওর টাকা দুবাইয়ে খাটে। তা সত্ত্বেও তাঁকে কেন দলে ফিরিয়ে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্বরা বলতে পারবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, দলের কোনও কর্মীর মনে আঘাত দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। আমিও একজন দলের কর্মী, সাংসদ তো নিশ্চয়ই। তৃণমূল করলে নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন