ডিএ নিয়ে বিতর্ক নতুন বিষয় নয়। এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে বেশ কয়েকবছর। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, "ডিএ হচ্ছে এক্সগ্রেশিয়া’, যা রাজ্যের আর্থিক সামর্থের উপর নির্ভর করে।"
এদিন মামলার শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারী যাঁরা দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইতে কর্মরত তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে মহার্ঘ ভাতা পান। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য কী ? অ্যাডভোকেট জেনারেল এই প্রশ্নের জবাবে জানান, যেহেতু তাঁরা রাজ্যের বাইরে থাকেন, তাই তাঁদের সঙ্গে এই রাজ্যে কর্মরত কর্মচারীদের তুলনা চলে না। এর পাশাপাশি, অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "এরাজ্যে কর্মরত কর্মচারীদের যে রিভাইজড পে স্ট্রাকচার দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা রয়েছে। বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির দিকে তাকিয়েই কর্মচারীদের পারিশ্রমিক প্রত্যেক বছর মূল্যায়ন করে রাজ্য।"
ডিএ মামলা যখন শুরু হয়েছিল, তখন গোড়ার দিকে ট্রাইবুনালের প্রথম বিচারপতি উল্লেখ করেছিলেন যে ডিএ রাজ্যের 'দয়ার দান।' এটা রাজ্য চাইলে দিতে পারে, না চাইলে নাও দিতে পারে। পরবর্তী সময় সেই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সরকারি কর্মচারীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। এবং তাতে জয়ও মেলে। তারপরও এজলাসে শুনানির সময় একাধিকবার এই বিষয়টি ঘুরে-ফিরে এসেছে। যা বৃহস্পতিবার শুনানির সময় ফের উঠে আসে। এবং সেই নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে।
যদিও ডিএ মামলায় এ বার একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এমন একটা ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। কারণ আদালত ঠিক করেছে, আগামী ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, টানা দু-দিন এই ডিএ মামলার শুনানি করবে হাইকোর্ট। অর্থাৎ একটা বিষয় মোটামুটি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আদালত খুব শীঘ্রই এই মামলা শেষ করতে চাইছে। যে মামলা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে আদালতে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন