করোনার কারণে বন্ধ দেশের প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে থেকে ফের খুলবে স্কুল-কলেজ? প্রশ্ন অভিভাবকদের। এমন সময় স্কুল খোলার জন্য বা স্কুলে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের টিকা না নিলেও চলবে। অভিভাবক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের টিকাকরণই যথেষ্ট। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দেশজুড়ে জল্পনা ও আতঙ্কের মধ্যে এই স্বস্তির কথা বৃহস্পতিবার শোনাল কেন্দ্র। সরকারের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বিনোদকুমার পল স্পষ্টই জানিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি সম্পূর্ণভাবে কোভিড বিধি মেনে চলে, তাহলে করোনা ভ্যাকসিন শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নয়।
স্কুল খোলা নিয়ে চর্চা এখন দেশজুড়ে। বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে স্কুল খুলতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও জানিয়েছে, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পর এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মতোই এ বারও কি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন আগে শুরু হবে। সব জেলাশাসকদের পাঠানো মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা কমিশনার অনিন্দ্যনারায়ণ বিশ্বাসের চিঠিতে সেই জল্পনাই শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে বৃহস্পতিবার তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কথা বলা যায়নি।
অনিন্দ্য জেলাশাসকদের লিখেছেন, অতিমারির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। স্কুল আবার খোলার জন্য কাঠামোগত অবস্থার মূল্যায়নে সমীক্ষা করা জরুরি। বিশেষত, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ভবন, শ্রেণিকক্ষ, রান্নাঘর, শৌচাগার, পানীয় জল সরবরাহ এবং বৈদ্যুতিম সরঞ্জাম মেরামত ও পুনর্গঠন খুব প্রয়োজন। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার স্কুলভিত্তিক পরিকাঠামো ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে সম্ভাব্য বাজেটের হিসাব তৈরিতে দরকারে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই-মাধ্যমিক) ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের (এডিএম-শিক্ষা) বিশেষ উদ্যোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট এডিএম-শিক্ষাদের সঙ্গেও স্কুলশিক্ষা নিজে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। এমনকী, এই সমীক্ষা ও সম্ভাব্য খরচের হিসাব পাঠানোর দিনক্ষণও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, যে কোনও অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিআই-মাধ্যমিকদের মাধ্যমে স্কুলশিক্ষা দফতরে বিশদ রিপোর্ট পাঠাতেই হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন