ফের অনিশ্চিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কী ভাবে মূল্যায়ন হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চরম আতান্তরে জয়েন্ট এন্ট্রাসের প্রায় ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
এত দিন বছরে দু-বার জয়েন্টে বসার সুযোগ মিলত।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে চলতি বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক হবে কিনা, তা নিয়েই বিতর্ক চলছে। তবে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ে হবে উচ্চমাধ্যমিক ও আগস্টে মাধ্যমিক। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরেই কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা।
এই পরিস্থিতিতেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বাতিলের পথেই দুই পরীক্ষা! যদিও এখনও এবিষয়ে রাজ্যের তরফে প্রকাশ্যে কিছু কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিক -উচ্চমাধ্যমিকের আনুমানিক সময় ঘোষণার পরই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে CBSC বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে বাতিল করা হয় আইএসসিও (ISC)। আর এর পরেই পরিস্থিতির বদল হতে শুরু করে। এদিকে রাজ্যের পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। একাধিকবার বৈঠক করেন ওই কমিটির তিন সদস্য। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে রিপোর্টও। জানা গিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে এই বিপুল পরিমাণ পড়ুয়াদের স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হলে ঝুঁকি বাড়বে। তাই পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে। এখন প্রশ্ন, কীভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি করা যেতে পারে, তাও বর্ণনা করা হয়েছে বলেই খবর সূত্রের। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রজেক্টের ১০ নম্বর জমা পড়ে গিয়েছে পর্ষদে। নম্বর শ্রেণির রেজাল্টের ভিত্তিতে তৈরি করা যেতে পারে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফাইনাল মার্কশিট তৈরির পরামর্শ দেওয়া হবে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও প্রজেক্ট জমা পড়ে গিয়েছে সংসদে। যেহেতু চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা করোনার জেরে একাদশের পরীক্ষাও দিতে পারেনি, সেই কারণে তাঁদের জন্য হোম অ্যাসাইনমেন্ট অর্থাৎ বাড়ি বসেই যদি আরও কোনও প্রজেক্ট করানো যায়, তার ভিত্তিতে মার্কশিট তৈরি করা যেতে পারে। তবে এটা বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা।
প্রসঙ্গত, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতিমধ্যেই সমাধান খুঁজতে শিক্ষা দফতরের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে পরীক্ষার রোড ম্যাপ কেমন হতে পারে তা নিয়ে নিজেদের সুপারিশ রেখেছেন তাঁরা। শনিবারই হয়ত সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে পারে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন