প্রায় সাত বছরের বেশি সময় ধরে আইনি জটে আটকে আছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেই জট কাটবে কবে তা বলা এখন বেশ কঠিন। এমন সময় শুক্রবারেই একটি দিশা মিলতে পারে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরুর। প্রার্থীদের একাংশ সেই আশাতেই আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত মামলাটি উত্থাপন করা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর তরফে।
১০ মে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ ছিল বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের। তবে ওই সময় ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইন্টারভিউ যথাসময়ে না শুরু করায় মামলাকারী প্রার্থীরা আদালত অবমাননার অভিযোগে কমিশনকে অভিযুক্ত করার হুঁশিয়ারি দেন। এর ফলে কমিশন আদালতে গিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল। তবে আদালত বন্ধ থাকায় সেটা জানাতে কমিশনের দেরি হয়। এছাড়া বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসও ছিল না। অগত্যা কমিশন অন্য এক বিচারপতির এজলাসে মামলাটি তোলে। তবে মূল মামলাটির রায় যেহেতু মৌসুমী ভট্টাচার্য দিয়েছিলেন, তাই তাঁর এজলাসেই মামলাটি তোলার নির্দেশ দেন সেই বিচারপতি। সেইমতো এদিন পদক্ষেপ করেছে কমিশন।
সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া অনলাইনে চালাতে চেয়েছিল কমিশনের একাংশ। তাদের ইন্টারভিউ তালিকাও তৈরি বলে জানা যাচ্ছে। তবে প্রযুক্তিগতভাবে অনলাইন ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই এখন মনে করছেন আধিকারিকরা। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চূড়ান্ত সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আদালতের কাছে কমিশন আবেদন জানাতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ নির্বাচন এবং কার্যত লকডাউন ইন্টারভিউ শুরুর প্রক্রিয়াকে ইতিমধ্যেই পিছিয়ে দিয়েছে। তাই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই কিছুটা পিছিয়ে যাবে বলে তারা আশঙ্কা করছে।
Mental
উত্তরমুছুনমিয়ান মার
উত্তরমুছুনসব নাটক চলছে
উত্তরমুছুন