করোনা আবহের মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের জন্য ভাল খবর। চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যেই রাজ্যের স্কুল গুলো তে গ্রুপ C এবং D কর্মী ও লাইব্রেরিয়ানের ভ্যাকান্সি কতো আছে তার তালিকা চেয়ে পাঠাল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সব মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুতরাং খুব শীঘ্রই নিয়োগ নিয়ে ভাল খবর যে আসতে চলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
করোনা আবহে নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর ফলে ভাগ্য খুলবে চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশের। কয়েক বছর রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া কার্যত আটকে রয়েছে আইনি জটিলতার কারণে।
কিন্তু এবার লাইব্রেরিয়ান এবং গ্রুপ C এবং D পদে কর্মী নিয়োগে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর এক হাজারেরও বেশি লাইব্রেরিয়ান পদে ফাঁকা রয়েছে এখনো পর্যন্ত। সেই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান দফতরের কর্তাদের। যদিও বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের স্কুলের লাইব্রেরিয়ানের শূন্যপদের তালিকা পাঠানোর পাশাপাশি গ্রুপ C এবং D পদে ভ্যাকান্সি কতো আছে তারও তালিকা চেয়ে পাঠান হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী তরফের নিয়োগের তৎপরতা শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ এসএসসি কে দেওয়া হয়েছে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই সম্পর্কে বৃহস্পতিবার একজন ডিআই জানিয়েছেন, 'শূন্যপদের যে পুরনো হিসেব রয়েছে, তার স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে সংখ্যাটা কিছু বেড়ে থাকলে প্রধান শিক্ষকদের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে।'
রাজ্যের স্কুলগুলিতে শেষবার গ্রন্থাগারিক নিয়োগ হয়েছিল ২০১৩ সালে। আর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর, ২০১৮ সালের এপ্রিলে কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। পাঁচ হাজারের কিছু বেশি নিয়োগ হয়েছিল সেবার। তবে, রাজ্য সরকার নতুন প্রায় পাঁচ হাজার উচ্চ প্রাথমিক স্কুল তৈরি করেছে। আবার বহু বিদ্যালয় পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার স্কুলের অধিকাংশতেই শূন্যপদ রয়েছে। তুলনায় কিছুটা কম হলেও বহু স্কুলে ফাঁকা গ্রন্থাগারিকের পদ।
জুলাইয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে এই নিয়োগ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে বলে আশাবাদী তথ্যাভিজ্ঞ মহলের একাংশ। প্রিলিমস এবং মেইনস, এই ২ ধাপে পরীক্ষা হবে। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান, টাইপিংয়ের গতি দেখা হয়। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ, কাউন্সেলিং এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা খাতে প্রাপ্ত নম্বরকে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হবে কি না, তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই বিস্তারিত জানা যাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন