গতকাল কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কি বঙ্গের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রভাব ফেলতে পারে? জল্পনা চলছিল। তা আরও জোরাল হল। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পরীক্ষার সূচি ও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু তা অনির্দিষ্ট কারণে স্থগিত হয়ে গেল। আজ সাংবাদিক বৈঠক করছেনা সংসদ কর্তারা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আদৌ এই পরিস্থিতিতে হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি।
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আগামী ১ জুন থেকে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৫ জুন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষা ফের পিছিয়ে যায়। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ও অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তিন ঘণ্টার বদলে দেড় ঘণ্টায় হবে পরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, 'উচ্চমাধ্যমিকে ১৫টি আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে। বাকি বিষয়ের নম্বর স্কুলের পরীক্ষার ভিত্তিতে।' একই সঙ্গে তিনি জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিজের স্কুলে হবে। তিনি বলেন, 'মাধ্যমিকে ৭টি মূল বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাকি বিষয়ে স্কুলের পরীক্ষার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। ৩ ঘণ্টার আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা দেড় ঘণ্টায় হবে।' উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিষয়ের যত কম পরীক্ষা নেওয়া যায় সে ব্যাপারে দেখার জন্য পর্ষদকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
মাধ্যমিকে এবার পরীক্ষার্থী প্রায় ১২ লক্ষ। উচ্চ মাধ্যমিকে সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। এই ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি চরম ধোঁয়াশা। পরীক্ষা বাতিল হলে মার্কশিট কীভাবে তৈরি করা হবে, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ২০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর মূল্যায়নের ওপরই নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ রূপরেখা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যায়ন পদ্ধতি যদি সঠিক না হয়, তাহলে পরবর্তীকালে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হতে পারে। ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন