করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। প্রতিদিন বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে গ্রামে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় বাড়তি নজরদারি শুরু করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
ওই নির্দেশিকায় গ্রামের স্বচ্ছতা কমিটির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আশা কর্মীদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় কোনও লক্ষণের হদিশ পেলেই পর্যায়ক্রমে আশা কর্মীদের ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের গ্রামীণ পরিকাঠামোয় টেলিকনসাল্টেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
শুধুমাত্র কো-মর্বিডিটিযুক্তদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রত্যেক গ্রামে যাতে যথা সংখ্যক পালস অক্সিমিটার থাকে, সেদিকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকলে, তাঁর কাছে প্যারাসিটামল, আইভারমেক্টিন, কাফসিরাপ, মাল্টিভিটামিন পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। লাগাতার ৩ দিন জ্বর না থাকলে হোম আইসোলেশনে থাকা কোনও করোনা আক্রান্ত ১০ দিনের পরই আইসোলেশন থেকে বেরতে পারেন বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছে কেন্দ্র। আর হোম আইসোলেশনের পর করোনা আক্রান্তকে পরীক্ষাও করাতে হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন