একুশের নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়ে মুখ পুড়েছে বিজেপির। যে স্বপ্ন ফেরি করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এখন পরাজিত প্রার্থীদের একাংশ দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি শুরু করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মুকুল রায়ের সঙ্গেই বিজেপি-তে আসেন কাশেম। রাজ্য স্তরের দায়িত্বও পান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। এখন তিনি ফিরে যেতে চান পুরনো দলে। বিজেপি-র করোনা আক্রান্ত এই মুসলিম নেতা রবিবার বলেন, 'বড় ভুল করেছি আমি। শরীরটা ঠিক হলেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আসব। আমি তৃণমূলেই ফিরে যেতে চাই।' কাশেমের বক্তব্য, 'বুঝতে পারছি বিজেপি দলটা মুসলিমদের জন্য নয়। আমি একা নই, আমার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করছে। সবাই ফিরতে চাইছে। সবারই বক্তব্য, বিজেপি ভোটের প্রচারে যে ভাবে সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেছে সেটা বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি।'
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপি-তে যোগ দেন হুগলির পুরশুড়া আসনের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শেখ পারভেজ রহমান। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের অবস্থান নিয়ে তিনি বীতশ্রদ্ধ। ওই আসনে এ বার বিজেপি জিতেছে। তবু বিজেপি-তে না থেকে পুরনো দলে গিয়েই কাজ করতে চান পারভেজ। তবে দল তাঁকে ফিরিয়ে নেবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন। তিনি বলেন, 'আমাদের মতো পুরনোরা না থাকাতেই আরামবাগ লোকসভা এলাকায় ৪টি আসনে তৃণমূল হেরে গিয়েছে। অভিমানে দল ছেড়েছিলাম। আশা করি এখন দল আমাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ভাববে।'
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন