প্রাথমিক টেট নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে গোটা প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশের পর ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের তরফে জেলায় জেলায় স্কুল ইন্সপেক্টরদের নতুন নির্দেশিকা পাঠান হয়। সেখানে বলা হয়, প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০১৪ টেটের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতনের বিল পাঠানো স্থগিত রাখতে হবে। তাতে আতান্তরে পড়েছিলেন ইতিমধ্যে স্কুলের চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষকদের।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুরে টেট পরীক্ষার্থী ১৭২ জনের কাউন্সিলিং থেকে জাল শংসাপত্র ধরে ৪ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ বাতিলের ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিতর্ক। রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে কি করে ওই প্রার্থী তালিকা জেলা স্কুল শিক্ষা সংসদে পাঠাল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আদালতের রায়ে টেট প্যানেল স্থগিত হয়ে যায়। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ সোমবার নিয়োগে এই স্থগিতাদেশ দেয়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। অস্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তারই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে। টেট প্যানেল স্থগিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক স্কুলে সদ্য নিয়োগ হওয়া ১৬৮ জনের ভবিষ্যৎ নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। নিয়োগপত্র না পাওয়া প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে। ডিপিএসসি সূত্রে খবর, আদালতের স্থগিতাদেশের জেরে নিয়োগ প্রাপ্তদের বেতন সহ পরবর্তী সরকারি প্রক্রিয়াও স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আদালতের স্থগিতাদেশ না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। যারা সোমবার পর্যন্ত স্কুলে যোগ দেননি তারাও আটকে গেলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু নয়া বিজ্ঞপ্তি জারির পরে কিছুটা স্বস্তিতে শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ১৬,৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে। এই অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল একাধিক মামলা। রাজ্যের ১৬,৫০০ জন শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের প্রশ্নের মুখে, কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল একাধিক মামলা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এবং নিয়ম না-মানার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।কয়েকশো চাকরি-প্রার্থী মামলা করেছেন বিচারপতিরা রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। অভিযোগ, মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ করার প্রক্রিয়া কি সম্ভব? সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দুটি ছুটির দিনে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সাতটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগের এক একটি ধাপ শেষ করে ফেলেছেন নিয়োগকর্তারা। এমন বহু নমুনা আছে যেখানে নিয়োগে অস্বচ্ছতার উদাহরণ রয়েছে বলে দাবি আইনজীবীদের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন