রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল। কলকাতা হাইকোর্টের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের । উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য শুক্রবার জানিয়ে দিলেন,"নিয়োগ প্রক্রিয়া আইন মেনে হয়নি।
এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের নির্দেশ আসার পর সব কিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রায়ের প্রতিলিপি এখনও হাতে পাইনি। না দেখে কি করে মন্তব্য করব? তবে আমাদের লক্ষ্য দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা। সেই লক্ষে এগোতে হবে। এই নিয়ে এসএসসির সঙ্গে কথা বলব।
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল। টিচার এলিজিবিটি টেস্ট বা টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়।
আর্থিক কারচুপির অভিযোগও ওঠে। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে চলছিল। সেই মামলাতেই এই রায় দিলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, "শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষকের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। টেটে যাঁদের নাম এসেছে তা যথাযথ নয়। তাই মেরিট লিস্ট বাতিল করা হল। কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী ছিল। রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে।"
এই নিয়োগ আটকে যাওয়া ইস্যুতে এক হবু শিক্ষক জানিয়েছেন, " আমরা চরম হতাশাগ্রস্ত আমরা। এই নিয়োগ এবার কবে হবে কে জানে। আমাদের বয়স তো বেড়েই যাচ্ছে। এই নির্দেশে অনেকেই চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল। আমরা দুর্নীতির জন্য দায়ীদের শাস্তি প্রার্থনা করছি।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন