উচ্চ প্রাথমিকের রায় নিয়ে রাজ্য সরকারের পরবর্তীতে অবস্থান কি হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বৈঠকে বসছে রাজ্য-স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যাবে, নাকি সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিয়েই ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে মান্যতা দিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া ভোটের আগেই কী শেষ করা সম্ভব তা নিয়ে আইনজীবীদেরও মতামত জানতে চাইবে রাজ্য।
সূত্রের খবর, ২১-এর বিধানসভা ভোটের আগেই উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালতের নির্ধারণ করে দেওয়া সময়সীমার আগে সেটা করা সম্ভব কিনা তা আইনজ্ঞদের কাছে জানতে চায় কমিশন। অন্যদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামছেন উচ্চপ্রাথমিকের প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য শুক্রবার জানিয়ে দিলেন,"নিয়োগ প্রক্রিয়া আইন মেনে হয়নি।
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল। টিচার এলিজিবিটি টেস্ট বা টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, যাঁরা যোগ্য নন তাঁদেরও তালিকায় নাম ছিল। আর্থিক কারচুপির অভিযোগও ওঠে। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে চলছিল। সেই মামলাতেই এই রায় দিলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, "শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষকের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। টেটে যাঁদের নাম এসেছে তা যথাযথ নয়। তাই মেরিট লিস্ট বাতিল করা হল। কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী ছিল। রাজ্য সরকার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন