প্রায় আট বছর আটকে আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। নতুন করে আশায় বুক বেঁধে আবার প্রতীক্ষা শুরু উচ্চ প্রাথমিকের কয়েক হাজার শিক্ষকপদ প্রার্থীদের। পুরনো প্যানেল ও মেধা-তালিকা বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে, ২০২১-এর ৪ জানুয়ারি ফের 'ভেরিফিকেশন' বা যাচাই শুরু করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
কিন্তু অনেক প্রার্থীরই প্রশ্ন, পুরো প্রক্রিয়ার সময়সীমা ৩১ জুলাই পর্যন্ত ঠেলে দিলে ফের নিয়োগে জটিলতার সৃষ্টি হবে না তো? এমন সংশয়ের কারণ, সামনেই বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনী আবর্তে পড়ে নিয়োগ-প্রক্রিয়া নাকানিচোবানি খেতে পারে। তাই একাধিক প্রার্থী সংগঠনের দাবি, ফেব্রুয়ারি, খুব বেশি হলে মার্চের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হোক।
হবু শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, নতুন করে ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হলে অন্তত এক লক্ষ ৮০ হাজার প্রার্থীর তথ্য যাচাই করতে হবে। তার পরে ডাকা হবে ইন্টারভিউয়ে। উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদের সংখ্যা এখন ১৪,৩৩৯।
তাঁদের আরও প্রশ্ন, করোনা আবহে এত প্রার্থীকে এসএসসি-র অফিসে ডেকে ইন্টারভিউ নেওয়া কি সম্ভব? যদি অনলাইনে ইন্টারভিউ হয়, তা হলে সব প্রার্থী কি সেই প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ দিতে পারবেন? অনেক প্রার্থী দূরদূরান্তের জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন, যেখানে নেট-সংযোগ ভাল নয়। তাঁদের পক্ষে অনলাইনে ইন্টারভিউ দেওয়া কতটা বাস্তবসম্মত, প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের শুক্রবারের রায়ের বিরুদ্ধে স্কুল সার্ভিস কমিশন ডিভিশন বেঞ্চে যাবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন