প্রায় ৮ মাসের কাছাকাছি বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার জেরে অনলাইন ক্লাসই ভরসা। এই পরিস্থিতিতে কবে থেকে আবারও সশরীরে পড়ুয়ারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবে, তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। যদিও তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগে ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকেই খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
ঠিক আগের মতো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পড়াশোনা করতে পারবেন পড়ুয়ারা।
সেক্ষেত্রে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে। বাড়তে পারে বিপদ। তাই সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এখনই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয়। পরিবর্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত অনলাইন ক্লাসেই জোর দেওয়ার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর। এছাড়া স্নাতকে সেমিস্টার অনুযায়ী পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়ার কথাই বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন, প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস হবে কী ভাবে? শিক্ষা শিবিরের খবর, অনলাইনে কী করে প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস নেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকেও উঠেছিল। তবে এই বিষয়ে আলোচনা তেমন এগোয়নি।
রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য নিজেদের মতো পন্থা বার করার চেষ্টা শুরু করেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কলেজগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, অনলাইনে স্নাতক প্রথম সিমেস্টারে ক্লাস ১৬ ডিসেম্বর শুরু করে দিতে হবে। বেশ কয়েক জন অধ্যক্ষ জানান, প্রথম সিমেস্টারে কোনও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস না-করিয়ে শুধু থিয়োরিটিক্যাল পড়াশোনাই চালাতে হবে। অনলাইন ক্লাস শুরু করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, তাঁরা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দেওয়ার কথা ভাবছেন। প্রথম সিমেস্টারের অনলাইন ক্লাসে প্র্যাক্টিক্যাল থাকবে না। পরের সিমেস্টারে তা করানো হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন