রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ। আর এই সমস্ত অনিয়মের উপর ভিত্তি করে আদালতে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। চলতি সপ্তাহেই কি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও রায় দিতে পারে? অন্তত এমনটাই অনুমান স্কুল সার্ভিস কমিশন ও স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। আর এই মামলার রায় কি হয় সেই দিকে তাকিয়ে আছেন রাজ্যের হবু শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গেজেট না মানার অভিযোগ ও টেট ওয়েটেজ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আনেন পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। একি সাথে অনিয়ম করে প্রশিক্ষিত নয় এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে সৃষ্ট লকডাউনে দীর্ঘ প্রায় চার মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্টে আপার প্রাইমারি মামলার শুনানি হয়নি।
অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। এখনও আইনি জালে জড়িয়ে আছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। যদিও কমিশনে কর্তাদের অনুমান চলতি সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা কাটতে চলেছে। মামলাগুলির শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে বলে টেট পরীক্ষার্থী সংগঠন জানিয়েছে। বাকি শুধুমাত্র রায় ঘোষণার। টেট নিয়ে যদি স্থগিতাদেশ উঠে যায় তাহলে দ্রুত নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করতে কোমর বেঁধে নামছে শিক্ষাদফতর। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে চলছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই অনলাইনে প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কারা কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেতে চলেছেন। এসএসসি সূত্রে খবর, প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্বের কাজ চলছে। কোন কোন স্কুলে কি কি বিষয়ে শূন্যপদ রয়েছে সেই তালিকাও তৈরির কাজ চলছে। অনলাইনে তা দিয়ে দেওয়া হবে। এবং সফল প্রার্থীদের তালিকার পাশাপাশি প্রকাশ করা হবে কারা কারা বিবেচিত হলেন। এই সংক্রান্ত সুপারিশ এসএসসির তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। পর্ষদ মারফত নিয়োগপত্র পাবেন সফল প্রার্থীরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন