শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। সদ্য ঘোষিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। শূন্যপদের সংখ্যা ঘোষণা না করে কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? এই যুক্তিতে দায়ের হওয়া প্রতিটি মামলাতেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শুক্রবার বিষয়টির শুনানি হতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে সরকার।
করোনার কারণে এবার এই গোটা প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে এও জানিয়েছে যে সমস্ত প্রার্থীরা চূড়ান্ত বর্ষের প্রশিক্ষণ হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন তারাও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন এর নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছে ২০১৪ সালে যে সমস্ত প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে রয়েছেন তাদের নথি যাচাই করা হবে। অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই নতুন বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।
প্রাথমিক টেট 'অনলাইন এপ্লিকেশন' বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২৩ নভেম্বর ২০২০। জরুরি ভিত্তিতে মামলার অনুমতি দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। পায়েল বাগের আবেদনে করা এই মামলার শুনানি হবে শুক্রবার। এই বিজ্ঞপ্তিকেই চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ পায়েল বাগে নামে এক পরীক্ষার্থী। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মামলার শুনানি। তিনি বলেন ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেই পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। সেই রায়ে বলা হয় যে সমস্ত পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাদের সকলকে পুরো ওই ৬ প্রশ্নের মার্কস দিতে হবে।
এর পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মামলায় বারংবার আদালতকে জানানো হয়েছে, কোনও শূন্যপদ নেই। অথচ, ফের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হল। তাই আদালতে প্রার্থনা করা হয়েছে, যারা টেট পাশ করে আছেন, তাঁদের সকলকে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তা না-হলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। পরীক্ষা নিতে দিলে আদালতের অনুমতি ছাড়া যেন তার ফল প্রকাশ না করা হয়। ওই আইনজীবীর বক্তব্য, এটি আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ, নাকি নয়া ব্যবস্থা, তা স্পষ্ট নয়। যদি এটি ২০১৪ সালের টেট সূত্রে পদক্ষেপ হয়ে থাকে, তাহলে ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণরা কেন এক্ষেত্রে অংশ নিতে পারবেন না?
অন্যদিকে, আর এক দল মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত সি-টেট উত্তীর্ণদেরও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা কেন এখনও নেওয়া হল না? তাঁরও বক্তব্য, কতজনকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়োগ করা হবে, তার কোনও উল্লেখই নেই বিজ্ঞপ্তিতে। এই মামলার ফলে আরও একবার মামলা জটে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ।
2014 te tet pass. D El Ed korecha Tara interview na dia thakle tader ki hobe
উত্তরমুছুন