করোনা আবহে এখনও পরিবর্তিত রুটিন ঘোষণা হয়নি। তাই ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে ধরে নিয়েই মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এখনও পর্যন্ত কতটা সিলেবাসে পরীক্ষা হবে, তা এখনও জানে না পড়ুয়ারা। তাই নিজেদের উদ্যোগে যেটুকু পড়াশোনা করার কথা, তা খোলা মনে করতে পারছে না তারা।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এই দুই পরীক্ষা মিলিয়ে প্রায় কুড়ি লক্ষ পরীক্ষার্থী থাকে। করোনার দাপটে মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় পঠন-পাঠন কার্যত বন্ধ আছে। গৃহশিক্ষকরাও ভরসা করে পড়াতে পারছেন না। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে অনুশীলন ভিত্তিক প্রশ্ন কিছুটা অগতির গতি। তাও সব ছাত্রছাত্রী এর সুবিধা নিতে পারছে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কমিটি যে রিপোর্ট দেয়, তাতে ৭০ শতাংশ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ ছিল। যদিও, কোন ৭০ শতাংশে এই পরীক্ষা হবে, তা এখনও প্রকাশ করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বা স্কুল শিক্ষা দফতর। ফলে, ডিসেম্বরে স্কুল খুললেও শিক্ষকরা কী পড়াবেন, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন তাঁরাও। স্টেট ফোরাম অব হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, অবিলম্বে ৭০ শতাংশ সিলেবাস নির্দিষ্ট করে প্রকাশ করা হোক। একইসঙ্গে দেওয়া হোক নম্বর বিভাজনও। আমরা চাইছি এমসিকিউ ধাঁচের প্রশ্ন হোক। লিখিত পরীক্ষা হোক ৭০ নম্বরের। বাকিটা প্রকল্প, ফিল্ড স্টাডিজ, সমীক্ষা প্রভৃতির জন্য বরাদ্দ থাকুক।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন