করোনার কারণে গোটা দেশে চলেছে টানা লকডাউন। এখনও বন্ধ আছে দেশের প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। রাজ্য সহ গোটা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে বেকারের সংখ্যা। এমন সঙ্কটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য কর্মসংস্থান।
বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে সেব্যাপারে আশার আলো দেখালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করলেন, আগামী তিন বছরে সরকারি চাকরি সহ ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে রাজ্যে।
শীঘ্রই নিউটাউনে ২০০ একর জমিতে প্রস্তাবিত সিলিকন ভ্যালির কাজ খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনেও যাবেন তিনি। লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তাই আগামী কয়েক মাসে সরকারি কাজে গতি আনাই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই দুর্গোৎসব মিটতেই তড়িঘড়ি প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয় নবান্নের তরফে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। শুধু স্কুল শিক্ষাতেই রাজ্যের ১ লক্ষ শিক্ষক পদ ১০ বছর ফাঁকা পড়ে আছে। বহু নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও আটকে আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূন্যপদ ২৫ হাজারের উপরে। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শূন্যপদ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দশ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু-বার নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। তার পর থেকে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনও নিয়োগ নেই। আবেদন পত্র পূরণ করে বসে আছেন সাড়ে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী। তিন বছরে পরীক্ষার দিন জানাতে পারেনি সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা করেছেন। আর এই ঘোষণার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করছে চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন