বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যে আটকে আছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। কবে নিয়োগ জট কাটবে তার উত্তর নেই খোদ কমিশনের কর্তাদের কাছে। যদিও বর্তমানে আপারের নিয়োগ পুরোটাই নির্ভর করছে আদালতের উপর। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গেজেট না মানার অভিযোগ আগেই এনেছিলেন পরীক্ষার্থীদের অনেকেই। একি সাথে অনিয়ম করে প্রশিক্ষিত নয় এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
চলতে থাকা লকডাউনের কারণে গোটা দেশে বেকারের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। এমন আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এটা ঠিক সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অনেক আগেই উঠেছে। এমনকি এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই অনুসারে ২০১৫ সালে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছিল। পরের বছর প্রকাশিত হয়েছিল সেই পরীক্ষার ফল। অনেক বিতর্কের পরে ২০১৯ সালে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করা হয়। তবে সেখান থেকেই সমস্যা তৈরি হয় বলে মনে করেন হবু শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, 'আমাদের ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে আগেই। সেখানে দেখা যায় অনেক অপ্রশিক্ষিত এবং তুলনায় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ডাক পেয়েছেন। এরই ভিত্তিতে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম।'
এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজকে ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি। এদিন বিচারপতি এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশকিছু কথা বলেন। এদিন বিচারপতি এই আপার মামলা আর্জেন্ট ম্যাটারে রেখে শুনানি করার কথা বলেন। এর পাশাপাশি কয়েকটি হেয়ারিং করার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দেন বিচারপতি। যা এই মুহূর্তে খুব ইতিবাচক। যদি উভয় পক্ষ রাজি থাকে তাহলে দ্রুত ফিজিক্যাল হেয়ারিং হবে বলে জানায় আদালত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন