চাকরির বাজার বাড়ল রাজ্যে। পিএফের সুবিধা পান, এমন নতুন কর্মচারী নিয়োগের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেই এমন তথ্য উঠে এসেছে। করোনার জেরে দেশ জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে গত আর্থিক বছরের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে নিয়োগে ধাক্কা লাগে দেশজুড়ে। তা থেকে রেহাই পায়নি পশ্চিমবঙ্গও। তবু সারা বছরের হিসেবে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় থেকে পিএফের সুবিধা পান যাঁরা, তাঁদের হিসেব রাখে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। প্রতি মাসে কোন রাজ্যে কত জন কর্মী নতুন কাজ পেলেন, তারও হিসেব জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসগুলিতে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পিএফ সংক্রান্ত সেই পে-রোল ডেটা বলছে, গত আর্থিক বছরে এ’রাজ্যে মোট চাকরি পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৬৯ হাজার কর্মচারী। অথচ ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে তা ছিল প্রায় ২ লক্ষ ৬৩ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে নিয়োগ বেড়েছে প্রায় ছ’হাজার। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এই হিসেব শুধু মাত্র সংগঠিত ক্ষেত্রের চাকরির বাজারকে কেন্দ্র করেই। এর বাইরে বহু মানুষ কাজ পেয়েছেন, যাঁরা পিএফের সুবিধা পান না। যে প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০ জন কর্মী কাজ করেন, একমাত্র সেখানেই কর্মীদের পিএফের সুবিধা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এদিকে, করোনার কারণে মার্চ মাসের শেষের দিকে লকডাউন ঘোষণা হলেও, ওই মারণ ভাইরাসের প্রভাবে দেশজুড়ে কাজের বাজার পড়তে শুরু করে ফেব্রুয়ারি থেকেই। মার্চ মাসে তা যথেষ্ট কমে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে ভারতে নতুন নিয়োগ কমে যায় ৪৪ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গও তার বাইরে নয়। গত মার্চে এ’রাজ্যে নতুন কর্মী হিসেবে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়। অথচ ফেব্রুয়ারিতে সেই সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। ওই মাসে নতুন কাজ পান প্রায় ৩২ হাজার কর্মী। আবার জানুয়ারি মাসে এ’রাজ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত হয়েছিলেন প্রায় ১৮ হাজার কর্মী।
পশ্চিমবঙ্গের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সিরা। তারপরেই আছেন ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সিরা। তবে ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে চাকরি পাওয়ার সংখ্যা নেহাত কত নয় এ’রাজ্যে, বলছে কেন্দ্রীয় তথ্যই।
Loading...
পশ্চিমবঙ্গের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সিরা। তারপরেই আছেন ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সিরা। তবে ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে চাকরি পাওয়ার সংখ্যা নেহাত কত নয় এ’রাজ্যে, বলছে কেন্দ্রীয় তথ্যই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন