গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর দিকে এগিয়ে চলেছে। কবে এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি মিলবে তা বলা বেশ কঠিন। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গোটা দেশে পঞ্চম দফার লকডাউন চলছে। কিন্তু তার পরেও কমছে না এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। এই লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক নিয়োগের পরীক্ষা।
করোনা পরিস্থিতির আগে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। আবার কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে শুরুর কথাও ভাবছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু, বর্তমানে নিয়োগ নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তাই নেই শিক্ষা দফতরের। এখন যে পরিস্থিতি চলছে তাতে মানুষকে সুস্থ রাখাটাই প্রধান লক্ষ্য। আগেই একথা জানিয়ে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা প্রতিরোধ করতে এই লকডাউনের জেরে থমকে গেছে বহু নিয়োগের পরীক্ষা। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগও। এই পরিস্থিতি তৈরির আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের পর টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (TET) পরীক্ষা হবে। এখনও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জালে জড়িয়ে আছে। আর কয়েকটি শুনানি হলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ পাওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার শুরু হওয়ার আশায় ছিলেন রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যায় কলকাতা পৌরনিগমের ভোট। আটকে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ। যদিও দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পরে খুলেছে আদালত। এর ফলে আপারের নিয়োগ জট কবে কাটবে সেই দিকে তাকিয়ে পরীক্ষার্থীরা। আপারের পরীক্ষার্থীরা মনে করেন দ্রুত মামলার জট সরিয়ে নিয়োগের কাজ শুরু করুক কমিশন।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন