রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বার বার। আর তার জেরে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। কিছুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে নিয়োগ নিয়ে আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই নির্দেশ মানেনি সরকার।
২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর প্রাইমারি টেট এর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন পরীক্ষার্থী RTI করে জানতে পারেন অনেকেই মাত্রে ১ বা ২ নম্বরের জন্য অকৃতকার্য হয়েছেন। ১১টি মাল্টিপল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হিসাবে যে চারটি অপশন ছিল তার মধ্যে ভুল ছিল! এই অভিযোগে ২০১৭সালে ১৭৭ জন প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
পরে বিচারপতি জানান ১১ টা নয় ৬ টি প্রশ্নের উত্তরে ভুল আছে।
পরে বিবেচিত আগামী তিন মাসের মধ্যে পর্ষদকে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে তাদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য।
পরে তা সুপ্রিম কোর্টেও যায়, সুপ্রিম কোর্ট মামলা ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্টে। সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। অবশেষে পর্ষদ কোর্টের রায়কে মান্যতা না দিয়ে ১৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩০ জন প্রার্থী কে উত্তীর্ণ করায়। বাকি ৪৫ জন প্রার্থীদের পর্ষদ বঞ্চিত করেন। এই ৪৫ জন প্রার্থীরাও প্রশিক্ষিত এবং উত্তীর্ণ হবার যোগ্য। মামলাকারীরা এও দাবী করেছেন যে, যদি ওই ৬ টি প্রশ্নের ৬ নম্বর পর্ষদ তাদের প্রদান না করেন তাহলে ওই একই প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়ে যেসব প্রার্থীরা চাকরী করছেন অবিলম্বে তাদের নামের লিস্ট প্রকাশ করে তাদের চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হোক।। এই ৪৫ জন প্রার্থী হাইকোর্টে বিষয় টি পুনরায় জানায়। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রার্থীদের প্রতি সহমত পোষণ করেন। কিন্তু পর্ষদ এ ব্যাপারে এখনও উদাসীন। বারবার পর্ষদকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের।
হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এই ৪৫ জন প্রার্থীকে তাদের প্রাপ্য নম্বর দিয়ে অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই সমস্ত পরীক্ষার্থীরা।
২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর প্রাইমারি টেট এর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কয়েকজন পরীক্ষার্থী RTI করে জানতে পারেন অনেকেই মাত্রে ১ বা ২ নম্বরের জন্য অকৃতকার্য হয়েছেন। ১১টি মাল্টিপল প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর হিসাবে যে চারটি অপশন ছিল তার মধ্যে ভুল ছিল! এই অভিযোগে ২০১৭সালে ১৭৭ জন প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।
পরে বিবেচিত আগামী তিন মাসের মধ্যে পর্ষদকে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে তাদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে রাজ্য।
Loading...
হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এই ৪৫ জন প্রার্থীকে তাদের প্রাপ্য নম্বর দিয়ে অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই সমস্ত পরীক্ষার্থীরা।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন