রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এর মধ্যে সোমবার থেকে রাজ্যে চালু হবে ফেরি সার্ভিস। আপাতত ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ফেরি চলবে। সোমবার পরিস্থিতি দেখার পর ৬০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ফেরি চলবে।
গত ২৩ মার্চ বিকাল পাঁচটায় হুগলী নদীতে শেষ ফেরি চলেছিল, তারপর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দফতরের কর্মীদের যাতায়াত ও কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে একটা অনিশ্চয়তা আছে। এবার লকডাউনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ জন থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি অফিস। খুলে যাবে জুটমিল, চায়ের দোকানও। অর্থাৎ কর্মস্থলে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আমজনতা কর্মস্থলে পৌঁছবেন কীভাবে, তা নিয়েই প্রশ্ন থাকছে। কারণ লোকাল ট্রেন এখনই চালবে না রাজ্যে। সেক্ষেত্রে ভরসা একমাত্র বাসই।
অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সুরক্ষা বজায় রাখতে বাসে গাদাগাদি করা যাবে না। বাসে যত সিট, ঠিক ততজনই যাত্রী উঠবেন। দাঁড়ানো যাবে না। সেই মোতাবেক খুবই অল্প যাত্রী উঠবেন বাসে। কিন্তু তাতে কি আদৌ জ্বালানির খরচ তুলতে পারবেন বাস মালিকরা? লোকসানের ভয়ে অনেক বাস মালিক বাস চালাতে নারাজ। তার উপর রয়েছে একাধিক সুরক্ষা-বিধি। বাস স্যাটিটাইজ করতে হবে, একজন যাত্রী উঠে যাওয়ার পর কনডাকটরকে সেই সিট স্যানিটাইজ করতে হবে, কোনও যাত্রীর কাছে পৌঁছতে পারবেন না কনডাকটর। এর পরেও থাকছে একাধিক নিয়ম। শহরের রাস্তায় চলন্ত বাসে এত নিয়ম আদৌ কি মানতে পারবেন কেউ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন