তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় হাজার দশেক অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। বর্তমানে মোট অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ষোলো হাজার। যে সংখ্যাটা পুরসভার বাইশ হাজার স্থায়ী কর্মীর প্রায় কাছেই।
সংখ্যাটা এত বাড়ল কেন? পুরমহলের এক পক্ষের মতে, কাউন্সিলর থেকে নেতা-নেত্রী সহ বিধায়ক, সাংসদদের একাংশের সুপারিসে অস্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে জঞ্জাল অপসারণ, ১০০ দিনের কাজের লোক, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা কর্মী-সহ একাধিক দফতরে ঢালাও ভাবে লোক নিয়োগ হয়েছে।
Loading...
যখন হাজার হাজার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে রাজ্যে, তখন শিক্ষক নিয়োগে অনীহা কেন সরকারের? একাধিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব। যার কারণে সমস্যায় পড়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
খাতায়কলমে গত প্রায় নয় বছর ধরে জেলায় ৩১০টি আপার প্রাইমারি স্কুল। কিন্তু শিক্ষকের অভাবে কোচবিহারে এখনও চালুই হয়নি প্রায় ৫০টির বেশি স্কুল। স্কুলগুলি কবে চালু হবে কিংবা আদৌ চালু হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে শুধু স্কুল চালু করতে না পারাই নয়, যে স্কুলগুলি চালু রয়েছে, সেই স্কুলগুলিতেও প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা কম। এতে যে উদ্দেশ্যে স্কুলগুলি গড়া হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকেদের। অভিযোগ, এর জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। মার খাচ্ছে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা। যদিও বাকি স্কুলগুলি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে চালুর আশ্বাস দিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর।
কোচবিহার জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ২৬৮টি স্কুল রয়েছে। প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ১৮৫৩টি। এর ফলে প্রাথমিকের পর হাইস্কুলে পড়ার জন্য জেলার বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের প্রচুর পড়ুয়া বাড়ির থেকে অনেকটা দূরে যেতে হয়। এতে অনেকে ড্রপ আউট হয়ে যায়। ড্রপ আউট বন্ধে শিক্ষার অধিকার আইনে বলা রয়েছে, বাড়ি থেকে যাতে এক কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে লেখাপড়া করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন