সম্প্রতি আপার প্রাইমারির মেরিটলিস্ট প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই তালিকায় একাধিক অসংগতি রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছেন চাকরি-প্রার্থীদের একাংশ। এনিয়ে আদালতের নির্দেশ মতন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন তাঁরা। পুজোর ছুটির পর হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ। উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে ইন্টারভিউ চলছিল তাতে কিছু অসংগতি রয়েছে বলে অভিযোগ করে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
বেশিরভাগ মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। সেই কারণে উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম দফার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ১৫ জুলাই শেষ হলেও এতদিন চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সাতদিনের মধ্যে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে।
ওই মেধাতালিকা প্রকাশের পর বহু অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তাঁদের অভিযোগ, তালিকায় অনেক প্রার্থীর টেট-এর নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত মামলাকারী প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছে কমিশন। অনেক প্রার্থীর অ্যাকাডেমিক স্কোর কম হলেও তাঁদের ইন্টারভিউতে প্রাপ্ত নম্বর অনেকটাই বেশি। অনেকের অ্যাকাডেমিক স্কোর বেশি থাকলেও তাঁদের ইন্টারভিউতে প্রাপ্ত নম্বর অনেক কম। বিষয় ও ক্যাটেগরি ভিত্তিক শূন্যপদের সংখ্যা না জানিয়ে কি করে কমিশন ১:১.৪ অনুপাতে মেধাতালিকা প্রকাশ করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা।
যদিও দুর্নীতির কোনও অভিযোগ মানছেন না কমিশনের চেয়ারম্যান। এক সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া খবর অনুসারে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন , "মেরিট লিস্ট পুরোপুরি স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। কোথাও কোন দুর্নীতির ব্যাপার নেই। এসএসসির ইতিহাসে এই প্রথমবার চাকুরী প্রার্থীদের প্রাপ্ত নাম্বার দেখানো হল। এর উপরে আমরা আর কিছু করতে পারব না। যারা মেরিট লিস্টে আসতে পারছেন না তারাতো উল্টো পাল্টা বলবেই।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন