রাজ্যে স্কুল সার্ভিসের মধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বহু অভিযোগ আছে এই রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের। স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ এবং প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এই রাজ্যের হবু শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফে বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কিংবা হবু শিক্ষকদের একটা অংশ যারা মোটামুটি বুঝে গিয়েছেন তাদের চাকরি প্রায় নিশ্চিত, তারাই নিয়োগ না হবার জন্য যে সব হবু শিক্ষকরা মামলা দায়ের করেছেন তাদের ঘাড়ে নিয়োগ আটকে থাকার সব দোষ চাপিয়ে দিতে চান। কিন্তু বাস্তব কি সেই কথা বলছে?
আগেই তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও আটকে রয়েছে প্রাথমিক টেট-এর নিয়োগ। চলতি মাসের ১৯ তারিখ আবার দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি ২৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে জানাতে হবে, কোন পদ্ধতিতে কাজ করছে পর্ষদ।
বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১৪ সালে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে প্রাইমারি টেটের পরীক্ষা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ভুল থাকার অভিযোগ তোলে পরীক্ষার্থীরা। দায়ের হয় মামলা। এর পর ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দেন, ৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল। যে প্রার্থীরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে ও যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়ম মেনে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে। পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানানো হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলাটি ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আসে। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরে খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টালবাহানার অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টে যান হবু শিক্ষকরা। প্রাথমিক পর্ষদ হাইকোর্টের রায় মানছে না বলে দাবি করেন তাঁরা। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ-প্রকাশ করেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করে ১৯ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেইমতো হাইকোর্টে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আবেদনকারী চাকরি-প্রার্থীদের নম্বর দেওয়ার কাজ করছে তারা। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, আদালত এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা বললেও তা কেন মানা হয় নি? আদালতকে কেনই বা রুল জারি করতে হল? এর উত্তর মনে হয় দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। এভাবেই একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন এক হবু শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব আদালতে দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীদের নম্বর দেবার কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। কিন্তু সেটা কতোটা সত্যি তা বোঝা যাবে আর কদিনের মধ্যে। আর তার পরে হয়ত আর নিন্দুকেরা বলতে পারবে না মামলার কারণে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে।
বিজ্ঞপ্তি জারি হয় ২০১৪ সালে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে প্রাইমারি টেটের পরীক্ষা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ভুল থাকার অভিযোগ তোলে পরীক্ষার্থীরা। দায়ের হয় মামলা। এর পর ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রায় দেন, ৬ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল। যে প্রার্থীরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে ও যোগ্য বিবেচিত হলে নিয়ম মেনে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে। পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের তরফে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানানো হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলাটি ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আসে। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরে খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টালবাহানার অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টে যান হবু শিক্ষকরা। প্রাথমিক পর্ষদ হাইকোর্টের রায় মানছে না বলে দাবি করেন তাঁরা। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের সচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ-প্রকাশ করেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে রুল জারি করে ১৯ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেইমতো হাইকোর্টে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আবেদনকারী চাকরি-প্রার্থীদের নম্বর দেওয়ার কাজ করছে তারা। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, আদালত এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবার কথা বললেও তা কেন মানা হয় নি? আদালতকে কেনই বা রুল জারি করতে হল? এর উত্তর মনে হয় দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। এভাবেই একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন এক হবু শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব আদালতে দাবি করেছেন চাকরি প্রার্থীদের নম্বর দেবার কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। কিন্তু সেটা কতোটা সত্যি তা বোঝা যাবে আর কদিনের মধ্যে। আর তার পরে হয়ত আর নিন্দুকেরা বলতে পারবে না মামলার কারণে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন